সীমা তার বড় বোন দর্শনে স্নাতক পড়ুয়া ঝর্ণার কাছে দর্শনশাস্ত্র সম্পর্কে জানতে চাইল। ঝর্ণা তাকে বলল, দর্শন আমাদের জীবনের অর্থ, স্বরূপ, পরিণতি ও মূল্য নির্ধারণ করে। দর্শন চর্চা ও অনুশীলন জীবনকে করে সুশৃঙ্খল, ব্যক্তিকে করে সত্যানুসন্ধানী এবং সমাজ ও রাষ্ট্রকে করে সুসংহত। ঝর্ণার কাছে দর্শনের গুরুত্ব সম্পর্কে জানার পর সীমা দুর্শন পাঠে আগ্রহী হয়ে ওঠে। কিন্তু সে দর্শন পাঠ করতে গিয়ে দেখল, এটি খুবই কঠিন এবং দুর্বোধ্য। তখন ঝর্ণা সীমাকে বলল, দর্শন বুঝতে হলে অবশ্যই যুক্তিবিদ্যার জ্ঞান থাকতে হবে। কেননা, যুক্তিবিদ্যা হলো দর্শনের ভিত্তি।